বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তা বেড়ে ৩.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেবিয়াসেস জানিয়েছেন, এমনিতে সিজনাল ফ্লুতে মৃত্যুর হার ০.১ শতাংশ।
তবে এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন, অচিরেই এই মৃত্যুর হার কমে আসবে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে গত বছরের শেষ দিকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৪৮১ জন।
বিশ্বজুড়ে ৩ সহস্রাধিক মৃত্যুর পাশাপাশি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজার ৬৮৮ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসাধীন ৩৮ হাজার ৫০৮ জন। এরমধ্যে ৬ হাজার ৪২০ জনের অবস্থা গুরুতর।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনেই মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১২ জনের। এরমধ্যে এই ভাইরাসের কারণে উহানেই প্রাণ গেছে ২ হাজার ৩০৫ জনের। বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ জানায়, চীনে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩১ জনের।
এরা সবাই হুবেই প্রদেশের। আর এরমধ্যে ২৩ জন উহানের। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৯ জন। চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের।
এরপর রয়েছে ইরান। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৯২ জনের। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৫, যুক্তরাষ্ট্রে ১১, জাপানে ৬, ফ্রান্সে ৪, স্পেনে ২, হংকংয়ে ২, অস্ট্রেলিয়ায় ২, ইরাকে ২, থাইল্যান্ডে ১, তাইওয়ানে ১, সান ম্যারিনোতে ১ ও ফিলিপাইনে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া ডায়ামন্ড প্রিন্স নামের একটি জাহাজে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
করোনা ভাইরাসে এখন মৃত্যুর হার ৩.৪ শতাংশ হলেও বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে অন্য কারণ খুঁজে পেয়েছেন। তারা মনে করছেন, শনাক্ত করা যায়নি এমন অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। তাদের বিবেচনায় নিলে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার কমে আসতো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধীরে ধীরে মৃত্যুর হার কমে আসবে।