শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। প্রথম লেগেও ঘরের মাঠে ৪-০ গোলের জয় পেয়েছিলো লিওনেল মেসিরা।
ম্যাচের শুরু থেকে বার্সেলোনার গোলরক্ষক স্টেগেনের পরীক্ষা নিতে থাকে ওসাসুনা। দ্বিতীয় মিনিটে ইয়োনাথান কায়েরির শট কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন স্টেগেন। দুই মিনিট পরই বারহার শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান টের স্টেগেন।
১৯তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে এসে মেসিকে ফাউল করে স্বাগতিক গোলরক্ষক সের্হিও এররেরা। সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ডও দেখান রেফারি। কিন্তু ফাউলের আগেই মেসি অফসাইডে ঢুকে পড়ায় সিদ্ধান্ত বদলে নেন রেফারি। তাতেই রক্ষা পান স্প্যানিশ এই গোলরক্ষক।
বল দখলের আধিপত্য ধরে রাখলেও খুব একটা আক্রমণ করতে পারেনি বার্সেলোনা। ফলে স্বাগতিক গোলরক্ষককে শুরুতে তেমন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়নি। ৩০তম মিনিটে আলবার বুলেট গতির শটে পিছিয়ে পড়ে ওসাসুনা। মেসির দুর্দান্ত ক্রস ধরেই খুব কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
চার মিনিটের মাথায় স্বাগতিকদের সমতায় ফেরা থেকে বঞ্চিত করেন স্টেগেন। রুবেন গার্সিয়ার নেয়া বুলেট গতির শট স্টেগেন বরাবর আসলে দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন তিনি। এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধে এসে ফর্মেশনে কিছুটা পরিবর্তন এনে রক্ষণ ও আক্রমণে শক্তি বৃদ্ধি করে।
৬৭তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। তিন মিনিট পরই দারুণ এক সুযোগ পান কায়েরি। কিন্তু সতীর্থের ক্রসে তার হেড লক্ষভ্রষ্ট হয়। ৮৩তম মিনিটে মেসির পাস থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের কয়েকজন ডিফেন্ডারের পাশ দিয়ে ডি-বক্সের মুখ থেকে বুলেট শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইলাইশ। ঝাঁপিয়ে বল ছুঁয়েছিলেন স্বাগতিক গোলরক্ষক কিন্তু তাতেও বল জালে যাওয়া আটকাতে পারেননি তিনি।
২৬ ম্যাচে ১৭ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে বার্সেলোনা। ২৪ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আতলেতিকো মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে। রোববার মুখোমুখি হবে মাদ্রিদের এই দুই দল।