সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) গোল্ডেন হারভেস্টের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬৩ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৯৭ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৯ পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩৭ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি গোল্ডেন হারভেস্ট। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৩ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ জুন সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৫ টাকা ২ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২০ টাকা ১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে গোল্ডেন হারভেস্ট। এর মধ্যে ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার শেয়ারটির সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা ও ২১ টাকা ৭০ পয়সা।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রোর অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২১৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৭ হাজার ৬২২। এর মধ্যে ৩২ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। এছাড়া ৩৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৯ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৭ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৪১৭ দশমিক ৫।