বিটা’র একাডেমিক, প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ ভবনসমূহকে শান্তিনিকেতনের আদলে সাজানো-গোছানো ও পরিপাটি করে গড়ে তোলা হয়েছে। সবমিলিয়ে মনে হয় এ যেন একখণ্ড ছোট্ট শান্তিনিকেতন।’
বুধবার (১০ মার্চ) সকালে চট্টগ্রামের পটিয়ার মেহেরআঁটিতে বিটা (বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব থিয়েটার আর্টস) সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্র আয়োজিত বিটা সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্রে নবনির্মিত আন্তর্জাতিক ভবন এবং শ্যাম-শেফালী মুক্তমঞ্চ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, পটিয়ার মাটি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব, শেফালী ঘোষের মতো অনেক বিশুদ্ধ মানুষের জন্ম দিয়েছে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম বসু, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রমুখ স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবীদের আত্মদানে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়েছে বটে কিন্তু তাঁদের কেউ পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা এনে দিতে পারেননি। একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। কে এম খালিদ বলেন, বিটা’র কর্মকাণ্ড সত্যিই অসাধারণ যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সংগঠনটি লোকজ সংস্কৃতি সংরক্ষণে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর পৃষ্ঠপোষকতায় সবসময় পাশে থাকবে মর্মে প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস প্রদান করেন।
বিটা’র সভাপতি কমল সেনগুপ্ত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটা’র নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত।
পরে প্রতিমন্ত্রী এম এ আজিজ স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে জাতীয় পিঠা উৎসব মঞ্চে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রামের আয়োজনে পাঁচদিনব্যাপী (০৯-১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন এবং অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায় কর্তৃক আয়োজিত ‘৪৫ বছর পেরিয়ে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।