বুধবার (১০ মার্চ) সুবিশাল দু’টি সমুদ্রগামী জাহাজের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন এরং একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসায় এটা সহজ হয়েছে। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এক্ষেত্রে অগ্রনি ভূমিকা পালন করছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা মুজিববর্ষে আছি এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে সাহসী করে তুলেছেন। বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। শুধু সমুদ্র সীমা নয় সমগ্র পৃথিবীকে হাতের কাছে আনার চেষ্টা করছি। সে পথযাত্রা আরো দীর্ঘ হবে। এজন্য মেরিটাইম সেক্টরকে সহযোগিতা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়প্রতিঞ্জ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পতাকাবাহি জাহাজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মেঘনা গ্রুপের এ জাহাজগুলোও আমাদের জাতীয় পতাকা উড্ডীন করে বহিঃর্বিশ্বে আমাদের সক্ষমতার প্রকাশ ঘটাবে। এসব জাহাজে দেশিয় নাবিকদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ও হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতে মাত্র ৬৩টি জাহাজ রয়েছে। আগামী ৫/১০ বছরে তা ৫০০/৬০০ সমুদ্রগামী জাহাজ হবে। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিনবছরে সরকারি খাতে ১৯ টি জাহাজ সংগ্রহ করেছিলেন।তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তি ২১ বছর দেশ উল্টোপথে চলে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। ৫০বছর পিছিয়ে যাওয়া দেশকে প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আশা করেন উন্নত দেশ গঠনে ব্যবসায়িরা এগিয়ে আসবে। মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব এগিয়ে যেতে চাই।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সুনীল সমুদ্র ব্যবসা বান্ধব। সুনীল সমুদ্র সম্পদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করবে। ২০৪১ সালে উন্ন দেশে পরিণত হতে সমুদ্র সম্পদ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।