জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক শর্ট ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। তবে খুব দ্রুত বৃহৎ আকারে এই প্রযুক্তিটি ফেসবুকের সমস্ত স্বল্প-দৈর্ঘের ভিডিওগুলিতে প্রয়োগ করা হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর, যোয়াভ আরনস্টেইন বলেছেন, “আমি এই মুহূর্তে স্রষ্টা বা বিজ্ঞাপনদাতাদের অংশদারীত্ব বলতে পারবো না, কারণ পরীক্ষাটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।” তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে এর পিছনে বিস্তৃত ধারণাটি হ’ল বিজ্ঞাপনদাতাদের স্থানীয় ব্যবসা বাড়ানো।
এর আগে তিন মিনিটের ভিডিও থেকে বিজ্ঞাপন-বাবদ আয়ের সুযোগ থাকতো, এবার এক মিনিটের ভিডিও থেকে আয় করা যাবে বলে জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক।তিন মিনিটের বেশি শর্ট ভিডিওতে ৪৫ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন রাখা যেতে পারে। ভিডিওগুলি মোট ৬০০,০০০ মিনিট দেখা হলে এবং ৬০ দিনের মধ্যে সর্বাধিক পাঁচটি ভিডিও আপলোড করলে তবেই সেই ব্যবহারকারীর পোস্ট করা ভিডিওটিতে বিজ্ঞাপন চালু হবে। এছাড়া লাইভ ভিডিওতে ব্যবহারকারীদের বর্তমানে ইন-স্ট্রিম প্রচারের জন্যে ৬০দিনে ৬০,০০০ লাইভ মিনিট দেখতে হবে।
ফেসবুক একই ভাবে তার বৈশিষ্ট্যগুলি বাড়িয়ে তুলতে ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করছে, যা দর্শকদের ভার্চুয়ালি লাইভ সামগ্রীর টিপস দেয়।
ফেসবুকের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী স্ন্যাপচ্যাট ইতিমধ্যে ‘স্ন্যাপচ্যাট স্পটলাইট’ নামক ফিচারের আওতায় সংক্ষিপ্ত ভিডিও নির্মাতাদের পেছনে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। সম্প্রতি টুইটারও ‘সুপার ফলো’ নামক একটি ফিচার নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে এক্সক্লুসিভ কনটেন্টের জন্য অর্থ আয়ের সুযোগ পাওয়া পাবে। এছাড়া টিকটক, লাইকির মতো প্ল্যাটফর্মেগুলোর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাও ফেসবুকের জন্য বড় হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।