রোববার (৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য ও জনগণের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। পরে ক্ষুদ্র পরিসরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে জনসমাগম এড়িয়ে বছরব্যাপী উদযাপন করা হবে মুজিববর্ষ।
বিদেশি অতিথিদের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কামাল আবদুল নাসের বলেন, মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের আসার কথা ছিল আপনারা জানেন। সেখানে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র থেকে শুরু করে অনেকের আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা আপাতত আসবেন না। পরে বিদেশি অতিথিদের ডাকা হবে। যেহেতু আমরা বর্তমান কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করছি, সেহেতু নতুন কর্মসূচি আপনাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও জনসমাগম পরিহার করার কথা বলা হয়েছে। কোনো অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়নি। কর্মসূচি যেভাবে সাজানো হয়েছিল সেটা পুনর্বিন্যাস করা হবে। প্যারেড স্কয়ারে জনসমাগমের যে অনুষ্ঠানটি সেটাকে পুনর্বিন্যাস করে পরবর্তীতে করা হবে। তবে বঙ্গবন্ধু ভবনে যে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং টুঙ্গিপাড়ায় যে শ্রদ্ধা নিবেদন সেই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা বাংলাদেশের দোয়া মাহফিল এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সেটাও থাকবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীকাল (সোমবার) আমাদের জাতীয় কমিটির সভা আছে, সেখানে আমরা আলোচনা করবো।
এর আগে দেশে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন। বৈঠকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ছাড়াও শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কীভাবে আয়োজন করা যেতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালেও নারী দিবসের অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে এ সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান।