সূত্র মতে, ব্যাংকগুলো আগে বেঁধে দেওয়া সীমার চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে। এ হিসেবে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দেওয়া যাবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমসা ৩০ শতাংশ বেঁধে দিয়েছিল।
বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সফল বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে মুদ্রাবাজার ও পুঁজিবাজারের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৈঠকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের সীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছে, যা খুবই ইতিবাচক একটি বিষয়।
অন্যদিকে এনবিএফআইগুলোর নগদ লভ্যাংশের সীমা না বাড়ানো হলেও বোনাস দেওয়া সুযোগ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি সুবিধাজনক হারে বোনাস দেওয়া য়াবে।
তবে লভ্যাংশের নতুন সীমা কার্যকরের ক্ষেত্রেও কিছু শর্ত প্রযোজ্য হবে। সেসব শর্ত পূরণ করেই কেবল সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত লভ্যাংশ দেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকের লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই মাসের শেষ সপ্তাহে এনবিএফআই এর লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার তীব্র প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অনেক কমে যায়। সব মিলিয়ে বাজার অস্থির হয়ে উঠে।
পুঁজিবাজারে প্রভাব পড়তে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিএসইসির সাথে আলোচনা করে নেওয়ার একটি নির্দেশনা থাকলেও লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ওই কোনো আলোচনা-ই করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। বিএসইসি বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে জানালে তার প্রেক্ষিতে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। আজ সোমবার (১৫ মার্চ) বিএসইসিতে আলোচিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।