সোমবার (১৫ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ এপ্রিল ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষা পদক-২০১৯ বিতরণ করা হবে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া প্রথম দিনে শতভাগ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্কুল এলাকায় গণসংযোগ, ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে সাজানো হবে।
দ্বিতীয় দিন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
তৃতীয় দিন মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষ্যে উপস্থিত বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। চতুর্থ দিন স্টুডেন্টস কাউন্সিল ও ক্যাব সদস্যদের উদ্যোগে বিদ্যালয় এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পঞ্চম দিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষক এসএমসি, পিটিএ সমন্বয়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের জন্য নিরাপদ শিখন পরিবেশ সৃষ্টিসহ বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
একই ভাবে ষষ্ঠ দিন মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষ্যে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে (স্বাস্থ্যবিধি মেনে)। শেষ ও সপ্তম দিনে সাংস্কৃতিক ও সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনছুরুল আলম জানান, প্রতি বছরের ন্যয় এ বছরও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপিত হবে। এবারের শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের দীক্ষা, মানসম্পন্ন শিক্ষা’। আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মাধ্যম রয়েছে সেখানে মুজিববর্ষের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে।
এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি এবং শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে প্রচার করা হবে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এসংক্রান্ত ব্যানার-ফেস্টুনসহ নানা প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।