সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ বাড়িতে পৌঁছায় তারা। এসময় তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
রাবেয়া-রোকেয়াকে ফিরে পেয়ে আন্দন্দে উদ্বেলিত গোটা গ্রাম। মাথার জটিল অপারেশন শেষে সুস্থ হয়ে তারা বাড়ি ফেরায় খুশি স্বজনসহ এলাকার মানুষ।
২০১৬ সালের ১৬ জুন সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নেয় জোড়া মাথার জমজ শিশু রাবেয়া-রোকেয়া। জন্মের পর দুশ্চিন্তায় পড়ে যান শিক্ষক দম্পতি বাবা-মা রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা খাতুন। কিভাবে কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এমন পরিস্থিতিতে তাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। সেই খবর পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তিনি দায়িত্ব নেন রাবেয়া-রোকেয়ার চিকিৎসার। এরপর ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তির পর দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ চিকিৎসদের নিবিড় তত্ত্বাবধায়নে চলে চিকিৎসা ও জটিল অপারেশন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর চিকিৎসা শেষে সোমবার বিকেলে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরে জোড়া মাথা আলাদা হওয়া রাবেয়া-রোকেয়া। এসময় তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
হতাশা কাটিয়ে নিজের সন্তানদের আলাদাভাবে ফিরে পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত রাবেয়া-রোকেয়ার বাবা-মা।
তারা বলেন, রাবেয়া-রোকেয়ার মতো যদি ভবিষ্যতে আবারো জোড়া মাথার জমজ শিশু জন্ম নেয় তাহলে তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ থাকবে না। এসময় তারা ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী ও চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের।