প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ হবে সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এর আগে ব্যাংকের জন্য লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ বেঁধে দিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনাভাইরাস মহামারীর সঙ্কটে ব্যাংকগুলো যাতে মুনাফা যথাসম্ভব অবণ্টিত রেখে মূলধন শক্তিশালী করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বজায় রাখতে পারে, সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কিন্তু এই সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দর হারাতে শুরু করলে পুঁজিবাজারের সূচকও নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায়। এরপরই দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বৈঠকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ঘোষণা আসে।
সোমবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানিয়েছিল লভ্যাংশের সীমা ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাড়তি সময় নেয়নি এবং যেসব ব্যাংক মূলধনের পরিমাণ ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১৫ শতাংশ বা তার বেশি, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করেছে, তারা শেয়ারধারীদের ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদসহ সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে।