ফলে আকাশে উড়েও যাত্রীরা প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
বিমানের বহরে যুক্ত হওয়া ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেতবলাকা’ রোববার (১৪ মার্চ) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমানের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এই উড়োজাহাজে পরিবেশবান্ধব ও অধিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ এ উড়োজাহাজে রয়েছে হেপা (HEPA) ফিল্টার প্রযুক্তি। যা মাত্র ৪ মিনিটেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অন্য জীবাণু ধ্বংস করার মাধ্যমে উড়োজাহাজর অভ্যন্তরের বাতাস সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করে। ফলে ভ্রমণে পুরোপুরি স্বাস্থ্যসুরক্ষা পাবেন যাত্রীরা।
এছাড়াও এই উড়োজাহাজে বেশি লেগস্পেস, এলইডি লাইটিং ও প্রশস্ত জানালা রয়েছে। ফলে ভ্রমণ হয়ে উঠবে অধিক আরামদায়ক ও আনন্দময়।
৭৪ আসন বিশিষ্ট প্লেন দু’টি বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে কেনা তিনটি উড়োজাহাজের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এই উড়োজাহাজ দু’টির নাম রাখেন ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেতবলাকা’।
কানাডার বিখ্যাত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত অত্যাধুনিক ৭৪ আসন সম্বলিত নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ। ড্যাশ-৮ প্লেনটি খুব ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়নে সক্ষম ও স্বল্প খরচে নিরবচ্ছিন্ন ও মসৃণ উড্ডয়নের জন্য বিখ্যাত। এই মডেলের প্লেনগুলোতে কেবিন নয়েজ সাপ্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ও ৫ মার্চ বিমানের বহরে যুক্ত হয় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ড্যাশ ৮-৪০০ মডেলের ‘আকাশতরী’ ও ‘শ্বেতবলাকা’। এই দু’টি যুক্ত হওয়ার ফলে বিমানের প্লেনের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১টি। যা বাংলাদেশের কোনো এয়ারলাইন্সের মধ্যে সর্বোচ্চ।