নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী দুবার ভোটার হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধের জন্য ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই দ্বৈত ভোটার হওয়ার প্রবণতা কমাতে পারছে না কমিশন। তাই এ প্রবণতা রোধ ও মামলা দায়েরের বিষয়ে কোনো সুপারিশ থাকলে তা জানানোর জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে অসচেতনভাবে কেউ দুবার ভোটার হলে ইসির কাছে ক্ষমা চেয়ে অনেকে মামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে যিনি দুবার ভোটার হয়েছিলেন, তিনি প্রথম ভোটার রেখে দ্বিতীয়টি কর্তনের জন্য ইসিতে ক্ষমা চেয়ে আবেদনের সুযোগ পান।
সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ সংক্রান্ত কমিটির সভায় দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে জানানো হয়, প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫৭ জনের নামে মামলা করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৫৬ জন দ্বৈত ভোটারের নামে মামলা করা হয়েছে।
ঐ সভায় দ্বৈত ভোটার সমস্যা সমাধানে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—দ্বৈত ভোটার হওয়ার প্রবণতা রোধকল্পে এ সংক্রান্ত কমিটি সুপারিশমালা পেশ করবেন; দ্বৈত ভোটারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সুনিশ্চিতকরণে আইনি সংস্কার সুপারিশ করবেন। অসত্ উদ্দেশ্য নিয়ে তথ্য গোপন করে অথবা সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার ভোটার হয়েছেন—এমন দ্বৈত ভোটার চিহ্নিতকরণ ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মতামত দেবেন ইত্যাদি।