এ সময় বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বেলারুশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল পারস্পরিক দেশ সফর করলে কোন কোন খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা যায়, তা নির্ধারণ করা সহজ হবে। এজন্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সহযোগিতা নিয়ে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের নতুন খাতগুলো নির্ধারণ করা সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দু’দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে বড় ব্যবধান রয়েছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ বেলারুশে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৪৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বেলারুশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা আছে, কিন্তু শুল্ক জটিলতার কারণে প্রত্যাশা মোতাবেক রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না। বেলারুশ সরকার এসব পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশকে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে বাংলাদেশের রফতানি অনেক বাড়বে বলে জানান মন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। এসব ইকোনমিক জোনে পাওয়ার, আইসিটি, কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে বেলারুশকে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বেলারুশ এসব সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া কৃষি ক্ষেত্রে বেলারুশের টেকনিক্যাল সাপোর্ট পেলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
সফররত বেলারুশের শিল্প উপমন্ত্রী ডিমিট্রি হ্যারিনটনচিক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বেলারুশ কৃতজ্ঞ। এজন্য বেলারুশ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ বেলারুশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার বলে উল্লেখ করে ডিমিট্রি জানান, বেলারুশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।