শনিবার (২০ মার্চ) গুলশানে নগর ভবনে সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রমের মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন মেয়র। মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির কর্মকর্তা, কর্মচারিদের কথা শুনে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মশক নিধন কার্যক্রমের নির্দেশনা দেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মশক নিধন কার্যক্রমে ১২শ’ কর্মীর হাজিরা দেখতে চাই কিন্তু সেটি পাইনি। তাই প্রত্যেক মশক সুপারভাইজারকে তার নিজ নিজ ওয়ার্ডের মশক নিধন কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে। ট্র্যাকার লাগিয়ে প্রত্যেক মশক নিধন কর্মীকে মনিটরিং করতে হবে। কাউন্সিলরগণও মনিটরিং করবেন।
আগামী শনিবারের মধ্যে (২৭ মার্চ) প্রত্যেক ওয়ার্ডের ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জমি ইত্যাদির তালিকা প্রণয়ন করে জমা দিতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মেয়র আতিক।
মেয়র বলেন, যার জায়গা তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মালিকানাধীন যাই হোক না কেন সবার প্রতি এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। যার যার ডোবা তারা নিজেরা পরিষ্কার করবেন, অন্যথায় যেখানেই ময়লা পাওয়া যাবে, সেখানেই মামলা দেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর সাইদুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, আবদুল মতিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।