পিএমসির দাবি, অ্যাপল স্টোর, অ্যাপল মিউজিক অ্যাপ্লিকেশনে ও আইটিউনস এ ফেয়ারপ্লে পদ্ধতির প্রয়োগ পিএমসির প্যাটেন্ট লঙ্ঘন করেছে। এ অভিযোগে তারা
মার্কিন আদালতে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পাঁচদিনের শুনানির পর বিচারক অ্যাপলকে তার রাজস্ব আয়ের অংশ থেকে পিএমসিকে জরিমানা আদায় করতে আদেশ দেয়। পিএমসির এক বিশেষজ্ঞ বলেন, অ্যাপল এর মাধ্যমে ২৪ কোটি ডলার আয় করেছে।
২০১৫ সালে অ্যাপলের বিরুদ্ধে এ মামলা করে পিএমসি। তখন অ্যাপল এ মামলার বিরুদ্ধে মার্কিন প্যাটেন্ট দপ্তরে আপিল জানায়। অ্যাপলের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। পিএমসির সঙ্গে অ্যাপলের এ দ্বন্দ্বে আদালত অ্যাপলের প্যাটেন্টের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে এ রায় দিল।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ রায় খুবই হতাশাজনক। তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
অ্যাপল ছাড়াও নেটফ্লিক্স, গুগল ও অ্যামাজনের বিরুদ্ধেও প্যাটেন্ট-সংক্রান্ত মামলা করেছে পিএমসি। যেগুলো এখনো চলমান।
অন্যদিকে অ্যাপলের সিইও টিম কুক ও সফটওয়্যার বিভাগের প্রধান ক্রেইগকে এপিক গেমের দায়ের করা এক মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য তলব করা হয়েছে। কুক ও ফেডেরিঘির সঙ্গে অ্যাপ স্টোরের ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাট ফিসার, সাবেক মার্কেটিং প্রধান ও বর্তমান ফেলো ফিল শিলারকেও সাক্ষ্য দেয়ার জন্য তলব করা হয়েছে।
এসব কর্মকর্তার পাশাপাশি অ্যাপলের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে অন্য কর্মকর্তারাও তাদের সাক্ষ্য দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে অ্যাপল।
এর আগে গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এপিক গেম অ্যাপ স্টোর থেকে নিজেদের জনপ্রিয় গেম ‘ফর্টনিট’ সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ তোলে। এ অভিযোগে তারা অ্যাপলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
তবে অ্যাপল বলছে, অ্যাপ কেনাবেচার শর্ত ভঙ্গের দায়ে ‘ফর্টনিট’ গেমটি তারা তাদের স্টোর থেকে সরিয়ে নিয়েছে। অ্যাপল জানায়, এপিক গেম অ্যাপ স্টোরের কেনাবেচার পদ্ধতি অনুসরণ না করে নিজেদের পদ্ধতিতে গেমটির কেনাবেচা করে যাচ্ছিল, ফলে অ্যাপল তার ৩০ শতাংশ লেনদেন ফি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।
অ্যাপল আরো জানায়, মামলায় জেতার ব্যাপারে তারা খুব আশাবাদী। কারণ এপিক গেম তাদের আয় বাড়ানোর জন্য চুক্তির লঙ্ঘন করেছিল। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে এপিক গেম অ্যাপ স্টোরের নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল।