বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর জাপান ও বাংলাদেশ যৌথভাবে এটি পরিচালনা করতে চায়।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও মাতারবাড়ী প্রকল্পের কাজ চলছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান জাপানি রাষ্ট্রদূত। তিনি আরও বলেন, মাতারবাড়ী একটি শিল্প কেন্দ্র হবে এবং এটি বাংলাদেশের ভাগ্য বদলে দেবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ী প্রকল্পটি চালু হলে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে।
জাপানি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চল আগামী বছরের মধ্যে উৎপাদনে যাবে। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি অঞ্চল।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর একটি বার্তা হস্তান্তর করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে জাপানে জাতির পিতার সফরের ওপর নির্মিত ‘ওয়েলকাম বঙ্গবন্ধু (১৯৭৩)’ শিরোনামে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি হস্তান্তর করেন।
জাপানে বঙ্গবন্ধুর সফরের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর ছোট বোন রেহানা ও ছোট ভাই শেখ রাসেল বাবার সঙ্গে ছিলেন।
শেখ হাসিনা বার্তা ও ভিডিও ডকুমেন্টারি পাঠানোর জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এর আগে বিরোধী নেতা হিসেবে ১৯৯০ সালে জাপান সফরের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান তাঁর কাছে স্বপ্নের ভূমি ছিল।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমাদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।