রোববার (২১ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ৫ম দিনের থিমেটিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার পঞ্চম দিনের থিম ছিল ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’। এতে অংশ নিয়ে দেশের উন্নয়নের নানা চিত্র তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এক কথায় বলতে গেলে আজ বদলে যাওয়া বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে, তা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আর এর সব কিছুরই ভিত্তি রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।'
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন দেশের স্বীকৃতির পাশাপাশি সারাবিশ্বে বন্ধু তৈরিতে মনোনিবেশ করেছিলেন। অবকাঠামো উন্নয়নে এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের নিয়েছিলেন নব উদ্যোগ। রফতানি বাড়িয়ে বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মনোযোগ দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি কৃষিখাতকে দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। দায়িত্ব গ্রহণের ১৪ মাসের মাথায় একটি জাতীয় নির্বাচন উপহার দিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নের এমন কোনো ক্ষেত্র ছিল না যেখানে বঙ্গবন্ধুর হাতের ছোঁয়া লাগেনি। এক কথায় বলতে গেলে আজ বদলে যাওয়া বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে, তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে; তার সব কিছুরই ভিত্তি রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আসুন আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করি। তার সততা, সাহসিকতা ও মানুষকে ভালোবাসার যে রাজনীতি সেই রাজনীতি থেকে শিক্ষা নিই। বাংলাদেশে সততা, সাহস ও মেধায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের জুড়ি নেই। যে শিক্ষা বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন, সেই শিক্ষা অনুসরণ করে দেশকে স্বপ্নের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে করি শক্তিশালী, লক্ষ্য অর্জনে হই নিবেদিতপ্রাণ।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করার পর শুরু হয় দুখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে জাতির পিতার নতুন সংগ্রাম। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজ। স্বাধীতার এক বছরের মধ্যেই প্রণয়ন করলেন মুক্তিকামী মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে একটি সংবিধান। দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে চললেন বাংলার মানচিত্রের অমর চিত্রকর। দু’চোখে তার সোনার বাংলার স্বপ্ন।
১০ দিনব্যাপী মুজিব চিরন্তনের পঞ্চম দিন ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’ থিমের ওপর আরও আলোচনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এবং ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহর পক্ষে ভিডিওবার্তায় কথা বলেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান আল সাদাফি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে ছিল- বন্ধু রাষ্ট্র চীনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর : শূন্য থেকে মহাশূন্যে (কাব্য, সুর ও ছন্দে কোরিওগ্রাফি), বঙ্গবন্ধুর নবজীবনের ডাক : ধূসর বাংলা থেকে সবুজ বাংলা (পালা, জারি ও গম্ভীরা পরিবেশনা)।
বিশ্বনেতা ও বিশ্বনাগরিকের সঙ্গে মেলবন্ধন (মিউজিক কোরিওগ্রাফি), নারী জাগরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু (থিয়েট্রিক্যাল কোরিওগ্রাফি), শিশু বিকাশে বঙ্গবন্ধু : আলো আমার আলো (১০০ জন শিশুশিল্পীর পরিবেশনা), শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নবজাগরণ : শিল্পের সকল বাহনের উৎকর্ষ সাধন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাটক ‘২৮৮ দিন’ এবং ব্যান্ড সংগীত পরিবেশনা।