তবে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়নে আগ্রহী শিক্ষার্থী ও ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় চার বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্যরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন সাপেক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য সম্বলিত সম্ভাব্য তালিকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আগামী ২৮ মার্চ প্রকাশ করা হবে। এরপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পুরণ শুরু হবে। আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া ফরমপূরণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। আর বিলম্ব ফিসহ ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে, প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু এবার করোনার প্রাদুর্ভাবে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে এখনও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ইতোমধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৬০ কর্মদিবসের উপযোগী করে সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। স্কুল খোলার পর ৬০ কর্মদিবস ক্লাস করিয়ে তাদের পরীক্ষা গ্রহণের কথা রয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সম্প্রতি করোনার প্রাদুর্ভাব উর্ধ্বমুখী হওয়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ফের সংশয় দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় ফরম পূরণ শুরু করার নির্দেশনা দিলো বোর্ডগুলো।
এবার এসএসসি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্র প্রতি ১০০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্র প্রতি ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থী প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা এবং জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তি ফি ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ফরম পুরণের বিলম্ব ফি হিসেবেও ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই হিসেবে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসির ফরম পূরণ বাবদ সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৭০ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৫০ টাকা এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৫০ টাকা ফি নিতে পারবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।