স্বল্প শ্বাসকষ্টের সংক্রমণ বা জ্বরে আক্রান্ত হওয়া লোকদেরকেও নিজেকে আলাদা করতে বলা যেতে পারে।
করোনার কারণে স্ব-বিচ্ছিন্ন (সেল্ফ আইসোলেশন) হওয়ার সময় আপনি কী করতে পারবেন এবং কী করতে পারবেন না সে সম্পর্কে আপনার জানা দরকার। এ বিষয়টি এখানে তুলে ধরা হলো-
স্ব-বিচ্ছিন্নকরণ সম্পর্কে বর্তমান নির্দেশিকা কী?
কোনও চিকিত্সক বা করোনাভাইরাস পরিষেবা দ্বারা পরামর্শ দেওয়া হলেই কেবল আপনাকে স্ব-বিচ্ছিন্ন হতে হবে বা নিজেকে আলাদা রাখতে হবে যাতে এই ভাইরাস ছড়াতে না পারে।
আপনার যদি মনে হয় যে, আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বা আক্রান্ত কারও সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হয়েছে তবে আপনার চিকিত্সা-পরামর্শ নেওয়া উচিত।
করোনাভাইরাসে উচ্চতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এমন দেশে গত ১৫ দিনের মধ্যে যারা ভ্রমণ করেছেন তাদের ক্ষেত্রেও পরামর্শ গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। দেশগুলো হলো ইতালি, থাইল্যান্ড ইরান, চীন ইত্যাদি।
কখন পরিবর্তন হতে পারে?
ফ্লু বা সর্দি অথবা জ্বরসহ শ্বাসকষ্টের মতো সংক্রমণের লক্ষণগুলো থাকলেও লোকদের শীঘ্রই নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতে বলা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা বা ফ্লুর লক্ষণ রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরকে সাতদিন স্ব-বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
স্ব-বিচ্ছিন্নতার অর্থ কী?
যদি আপনাকে স্ব-বিচ্ছিন্ন করতে বলা হয় তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ঘরে থাকতে হবে। এ সময়ে কর্মস্থলে বা স্কুলে যাওয়া বা পাবলিক জায়গাগুলোতে যাওয়া এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা ট্যাক্সি ব্যবহার না করা উচিত।
বাড়ির অন্যান্য লোকদের কী হবে?
এ সময়ে ফ্লু বা সর্দি অথবা জ্বরসহ শ্বাসকষ্টে ভুগলে নিজেকে পরিবারের অন্য মানুষের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা উচিত। একইসাথে পরিবারের লোকদেরও সাথেও একই কক্ষে থাকা উচিত হবে না।
আলাদা বাথরুম না পাওয়া গেলে বিকল্প বাথরুমের সম্পর্কেও ভাবতে হবে। স্ব-বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির বাথরুমটি ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আপনার থালাবাসন, পানির গ্লাস, কাপ, খাবারের পাত্র, তোয়ালে, বিছানাপত্র বা অন্যান্য জিনিসগুলো পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
আপনি যদি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কিংবা আবাসস্থলে কারো সাথে শেয়ার করে বাস করেন তবে একসাথে রান্নাঘর, বাথরুম এবং থাকার জায়গা ব্যবহার করবেন না। সবার সাথে একসাথে না বসে নিজঘরে আলাদাভাবে খাবার গ্রহণ করা উচিত।
কীভাবে ঘরে খাবার এবং টয়লেট্রিজের ব্যবস্থা পেতে পারি?
আপনি যদি স্ব-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তবে আপনার বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে মুদি, ওষুধ বা অন্যান্য কেনাকাটার কাজগুলি সম্পন্ন করতে হবে। এই কাজগুলো নিজে করতে যাবেন না।
আপনি যদি অনলাইনে অর্ডার দেন তবে ডেলিভারি ড্রাইভারকে সরবরাহ করা আইটেমগুলো আপনার ঘরের বাইরে রাখতে বলতে হবে।
একা বসবাসকারী কোনও প্রবীণ আত্মীয়ের স্ব-বিচ্ছিন্নতায় কী হবে?
স্ব-বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের উচিত হবে না কাউকে দাওয়াত দেওয়া। ঘরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত নয়।
যদি আপনি মনে করেন যে, কারও কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তবে সেক্ষেত্রে প্রথমে মনোনীত মেডিকেল কর্তৃপক্ষে সাথে আলোচনা করা উচিত।
পরীক্ষা মাধ্যমে স্ব-বিচ্ছিন্নতা এড়াতে পারি না?
সম্প্রতি করোনা কবলিত নির্দিষ্ট কিছু দেশে ভ্রমণ করেছেন আপনি। কিন্তু পরীক্ষার পরও যদি নিশ্চিত হন যে, আপনি কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হননি। তবুও আপনার নিজেকে ঘরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে আলাদা রাখা উচিত।
সূত্র : বেলফাস্ট টেলিগ্রাফ