শীতকালের পুরো সময় যেহেতু এসি বন্ধ ছিল, তাই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গরমের শুরুতে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। যেমন:
* এসি চালু করার আগে এসির এয়ার ফিল্টারে ময়লা আছে কিনা কিংবা বৈদ্যুতিক সংযোগ, সকেট, ফিল্টার ঠিক আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে। সামান্য অসাবধানতায় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
* বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকা এসি চালু করার আগে চেকআপ ও সার্ভিসিং করানো উচিত।
* দীর্ঘদিন এসি চালু না থাকার কারণে এয়ার ফিল্টার ধুলোয় ভরে যায়। ধুলো জমার কারণে বাতাস চলাচল বাধা পায়, ফলে এসি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
* দীর্ঘ সময় পর বন্ধ এসি চালু করতে গেলে এসি থেকে শব্দ হতে পারে। এমনকি পানিও পড়তে পারে।
* এসি অনেকদিন বন্ধ থাকলে এর কুলিং বা ঠাণ্ডা করার ক্ষমতা কমে যায়। এক্ষেত্রে এসির ভেতরের নেট খুলে ধুলা পরিষ্কার করে নিতে হবে। ফিল্টার পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। খুব বেশি ময়লা জমে গেলে একটু ডিটারজেন্ট পাউডার বা লিক্যুইড সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে।
* খুব সহজেই বাসায় এয়ারকন্ডিশনারের ফ্যান পরিষ্কার করা যায়। শুকনো কাপড়, ব্রাশ কিংবা এয়ার ব্লোয়ার থাকলে এয়ারকন্ডিশনারের ফ্যানের ব্লেডে আটকে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন।
* এসির সর্বোত্তম পারফরম্যান্সের জন্য প্রতি দুই সপ্তাহে একবার ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে।
* কুলিং একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে বুঝতে হবে এসির ভেতরে গ্যাস ফুরিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবা প্রদানকারী প্রতিনিধিদের মাধ্যমে গ্যাস রিফিল করে নিতে পারেন।