শিল্প সচিব কে এম আলী আজম বাসসকে জানান, আইএইচএএফের সদস্য হওয়ার পর বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন বোর্ডের সার্টিফিকেট বিশ্বের সর্বত্র গৃহীত হবে। বাংলাদেশ ইসলামি দেশগুলোর স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড মেট্রোরোজি ইনস্টিটিউটের (এসএমআইআইসি) সদস্যপদ পাওয়ার জন্যও চেষ্টা করছে। বৈশ্বিক হালাল বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সরকার বাংলাদেশি হালাল পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সব ধরনের সহযোগিতা করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া উইংয়ের ডিরেক্টর জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ বলেন, উন্নয়ন লক্ষ্য, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি)-২০৩০ এবং ভিশন-২০৪১ অর্জনের জন্য রফতানি বাড়াতে বাংলাদেশকে হালাল শিল্পের দিকে যেতে হবে। একটি উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যে আমরা যদি আমাদের রফতানি বিদ্যমান ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে চাই তবে, আমাদের হালাল শিল্পের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) জোনের উন্নয়ন পরামর্শক একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী হালার পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে বেজা তার অর্থনৈতিক অঞ্চলে ‘হালাল হাব’ প্রতিষ্ঠার জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা প্যাকেজসহ উন্নত জমি সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছে। ।
হালাল পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও এদেশ বহিবিশ্বে এই ব্যবসায়ের বহুমুখীতা আনতে পারেনি। মাহবুবুর রহমান জানান, বৈশ্বিক হালাল শিল্পের সম্পদের পরিমাণ ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার এবং তা বার্ষিক ২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই শিল্পের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৫৬০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হয়।