এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি মার্জিন ঋণের সুদ হার বাস্তবায়নে একটি নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসইসি। সেখানে বলা হয়েছিলো স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংক প্রদত্ত মার্জিন ঋণ প্রদানের বিপরীতে গ্রাহকের নিকট থেকে কস্ট অব ফান্ডের সঙ্গে অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড আদায় করতে পারবে। কিন্তু কোনোক্রমেই মার্জিনের সুদ হার ১২ শতাংশের বেশি হবে না। যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিলো।
বিএসইসি’র নির্দেশনার ফলে পুঁজিবাজারের মধ্যস্থাকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে বিএমবিএ’র চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিতরণকৃত ঋণ থেকে তারা কোন সুদ পাচ্ছে না। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে সুদ প্রদান করতে হয় এসব প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়া মার্জিনের সুদ হার ১২ শতাংশ নির্ধারণ করার কারণে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ এসব মধ্যস্থাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ পেতে আরও বেশি ব্যয় হয়ে থাকে। দেশে সুদের হার ৯ শতাংশ হলেও মার্চেন্ট ব্যাংকাররাএই সুদে ঋণ পাচ্ছে না।
বিএমবিএ’র চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মার্জিন ঋণের সুদ হারের বিষয়টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও গ্রাহকদের মাধ্যমেই পরিচালিত হওয়া উচিৎ। অন্যথায় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে মার্জিন ঋণ ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হতে পারেন। কারণ যখন তাদের পোর্টফোলিওতে শেয়ারের দাম পড়ে যায় তখন বিনিয়োগকারীরা সুদ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। একটি নির্দিষ্ট সময় পরে অ্যাকাউন্টগুলো নেতিবাচক হয়ে যায়। এর ফলে পুরো ব্যয় মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজের মত মধ্যস্থাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেই বহন করতে হয়।
প্রথমে এই সুদ হার কার্যকরের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি সময় নির্ধারণ করেছিল বিএসইসি। এরপর তা ৫ মাস পিছিয়ে দেয়া হয়েছিলো। ক্ষতির পরিমাণ এড়াতে বিএসইসির কাছে আবারও সুদ হার বাস্তবায়নের জন্য এ সময় বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
এর আগের নীতিমালা অনুযায়ী, ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজারের নিচে থাকাকালীন মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ১:১ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে। অর্থাৎ গ্রাহকের নিজস্ব ১ টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১ টাকা মার্জিন ঋণ দেওয়া যাবে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ৪০০১-৫০০০ মধ্যে থাকলে ১:০.৭৫ হারে বা গ্রাহকের ১ টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে ৭৫ পয়সা মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০০১-৬০০০ পয়েন্টের মধ্যে থাকলে মার্জিন ঋণ হবে ১:০.৫০। অর্থাৎ গ্রাহক ১ টাকা বিনিয়োগ করে ৫০ পয়সা মার্জিন ঋণ নিতে পারবেন।
আর ডিএসইর প্রধান সূচক ৬০০০ পয়েন্টের ওপরে থাকলে ১:০.২৫ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারী ১ টাকা বিনিয়োগ করে ২৫ পয়সা মার্জিন ঋণ নিতে পারবেন।