শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি শ্যামনগরে অবতরণ করে। এর আগে সকাল ৯টার পর ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরার উদ্দেশে রওনা হন মোদি।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাড়ে ৪০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শন ও পূজা-অর্চনা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সেখান থেকে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাবেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে মোদিকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পালা শেষে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে একটি গাছের চারা রোপণ করবেন।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে মোদি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মতুয়াদের প্রধান তীর্থপীঠ ওড়াকান্দিতে যাবেন। সেখানে তিনি হরিচাঁদ মন্দিরে পূজা দেবেন। পরে তিনি মতুয়া প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে তাকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নরেন্দ্র মোদি বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে বক্তব্যে বাংলাদেশ-ভারত সামনের দিনগুলোতে যৌথভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের মহাত্মা গান্ধীর সম্মানে তৈরি বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘর উদ্বোধন করেন।