প্রথমে যে বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝতে হবে তা হলো গ্রিন টি চা কফির চেয়ে ভালো হলেও সারাদিন যখন ইচ্ছা তখন গ্রিন টি খাওয়া যাবে না। সময়ের উপর ভিত্তি করে গ্রিন টি খাওয়ার প্রতিক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন হয়।
গ্রিন টি খাওয়ার উপযুক্ত সময়:
গ্রিন টি থেকে উপকার পেতে হলে সঠিক সময়ে গ্রিন টি পান করতে হবে। গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় হলো সকালে খালি পেটে এবং ব্যায়াম করার আগে। গ্রিন টির মাধ্যমে সকাল শুরু করলে পুরো দিনই আপনার মেজাজ ফুরফুরে থাকবে। গ্রিন টি বা কফি দুটোতেই ক্যাফেইন ও থিয়েনিন রয়েছে। এই দুইটির সমন্বয় মন মেজাজ দুইটিই ভালো রাখে।
আর আপনার যদি লক্ষ্য থাকে ওজন কমানো তবে শরীর চর্চা করার আগেই গ্রিন টি পান করতে হবে। সেক্ষেত্রে শরীর থেকে দ্রুত ফ্যাট বার্ন হবে।
গ্রিন টি খাওয়ার অনুপযুক্ত সময়:
খাবারের পর আমরা অনেকেই এক কাপ গ্রিন টি খায়। কিন্তু খাওয়ার পর এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্রিন টি শরীরে উল্টো ক্ষতি ডেকে আনে। খাওয়ার পর পর গ্রিন টি খেলে খাবারের যেসব উপাদান রয়েছে তা শরীর শোষণ করতে পারে না। ফলে প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি থেকে যায়।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্রিন টি পান করলে যে ক্যাফেইন রয়েছে তাতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ,অবসাদের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে গ্রিন টিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ চা কফির তুলনায় অনেক কম। ২৩০ মিলিগ্রাম গ্রিন টিতে ২০ থেকে ৪৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন রয়েছে যা চা কফির তুলনায় কম।
যেভাবে গ্রিন টি আরো বেশি স্বাস্থ্যকর বানানো যায়:
গ্রিন টি এমনিতেই শরীরের জন্য উপকারী। আপনি চাইলে এর গুণাগুণ আরো বাড়াতে পারেন। গ্রিন টি যে পানিতে করবেন তা অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম কোনটাই হবে না। পানির তাপমাত্রা হবে ১৬০ থেকে ১৮০ ডিগ্রি। পানিতে ২ থেকে ৩ মিনিটের বেশি গ্রিন টি রাখা ভালো হবে না। ১৭৭ মিলিলিটার পানিতে ২ গ্রাম গ্রিন টি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি চাইলে সাথে লেবুর রস,পুদিনা পাতা, ১ চা মধু যোগ করে নিতে পারে।
তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে গ্রিন টি বানিয়ে রেখে দেওয়া যাবে না। এতে করে গ্রিন টির স্বাদ তিতা হয়ে যেতে পারে।