বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার একটাই কথা, ‘ট্রফিটা আমি দেশে নিয়ে যেতে চাই। আশা করি, কাল আমরাই ভালো খেলব এবং জিতব। আর দল হিসেবেও নেপালের চেয়ে এগিয়ে আমরা।’
নেপাল অধিনায়ক কিরন কুমার লিম্বু বলেন, ‘গত দুই ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সে খুবই খুশি আমি। হ্যাঁ এটা ঠিক, গোল হয়নি। তবে খেলোয়াড়দের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে আমার। ফাইনালে নিশ্চয় আমরা গোল পাব, ট্রফিটা নিজেদের দেশে রেখে দিতে পারব।’
বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে, ‘এই ম্যাচটা যদি বাংলাদেশে হতো আমিও আমাদেরকেই এগিয়ে রাখতাম। এখানে অন্তত সমান সুযোগ থাকবে দুই দলের।’
টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত দুই দলের যে পারফরম্যান্স তাতে করে সত্যিকার অর্থে এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না নির্দিষ্ট কোনো দলকে। দুই দলই রক্ষণকাজে, সংগঠনে দৃঢ়তা দেখিয়েছে, যা দেখা যায়নি তা হলো ব্যক্তিগত ঝলক আর অসাধারণ কোনো মুহূর্ত। নেপাল ম্যাচে ১২তম মিনিট থেকে পরের কয়েক মিনিট ওয়ান টাচ ফুটবলের অনুপম প্রদর্শনীতে স্বাগতিক দর্শকদেরও মোহিত করেছিল বাংলাদেশ দল। তেমন কিছু মুহূর্ত ম্যাচে কয়েকবার এলে একবার গোল হয়ে যেতেই পারে, কারণ তখন প্রতিপক্ষকে মনে হয় দিশাহারা, তারা পজিশন হারায়। ফাইনালে কী হয় সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।