গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অর্থবিভাগের উপসচিব (সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব) মো. হেলাল উদ্দীন।
তিনি বলেন, বৈশাখী ভাতা বেতনের সঙ্গে দেয়া হবে না, উৎসব ভাতা-বৈশাখী ভাতা আলাদাভাবেই দেয়া হয়। এপ্রিলের শুরু থেকে ১০ তারিখের মধ্যেই ভাতার টাকা দেয়া হবে। যেহেতু এখন অনলাইন সিস্টেম, এই ভাতার বিল প্রথমে সাবমিট করতে হবে। বিল সাবমিট করার পর একাউন্টস অফিস পাস করবে, পাস করলেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। এই বিলটি এপ্রিলের ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যেই দেয়া হবে। বৈশাখের আগেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ভাতা পাবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নববর্ষ ভাতার আলাদা কোড আছে। ১৪ এপ্রিলের আগেই বিল করে সাধারণত বিলটি তোলা যায়। তবে বিল সাবমিট করে একাউন্টস বিভাগ থেকে তা পাস করার পরই বিলটি পাওয়া যায়। গত বছরও ১০ এপ্রিল নববর্ষ ভাতা পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঘোষিত জাতীয় বেতন কাঠামোতে প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ ভাতা চালু হয়। এটি কার্যকর ধরা হয় ওই বছরের ১ জুলাই থেকে। সে অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে নববর্ষ ভাতা পেয়ে আসছেন। পাশাপাশি কিছু সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিকপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এ ভাতা দিয়ে আসছে।