এই ২৯ জেলার মধ্যে রয়েছে- ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফেনী, চাঁদপুর, নীলফামারী, সিলেট, টাঙ্গাইল, রাজশাহী ও নওগাঁ।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখায় গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব জেলাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
উচ্চ ঝুঁকির এসব জেলায় সংক্রমণ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, জেলা পর্যায়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা সেই কমিটি ঠিক করবে আর অধিদপ্তর বিষয়টি মনিটর করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চাই, একজনের কাছ থেকে আরেকজনে সংক্রমণ বন্ধ করতে চাই তাহলে প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শুধুমাত্র উচ্চ সংক্রমিত ২৯টি জেলা নয়, আমাদের দেশের সবাইকে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শতভাগ মানুষকে মাস্ক পরিধান করা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ইতোপূর্বে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার যে অভ্যাসটি করেছিলাম, সেটা অনেক ভালো ফলাফল বয়ে এনেছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, দেশের ২৯টি জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বত্র মানুষে মানুষে করোনার সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের শতভাগ মানুষ মাস্ক পরাসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
এদিকে, মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৪৫ জন। যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৯৪৯ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫ হাজার ১৮১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগে দেশে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৯৫ জনে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ৩০ নভেম্বরের পর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। কিন্তু মার্চের শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগী, মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়