বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক সম্পূর্ণভাবে খুলে দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে এটি সাময়িকভাবে ডাউন করা ছিল।
গত ২৬ মার্চ বিকেল থেকে ফেসবুক ব্যবহারে সমস্যা দেখা দেয়। ওই দিন থেকে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক লগইন করতে সমস্যায় পড়েন, সেই সাথে বার্তা আদান-প্রদানেও সমস্যা হয়।
এর আগে বাংলাদেশে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার অ্যাপের সীমিত সেবার বিষয়ে আমেরিকান টেক জায়ান্ট ফেসবুক এক বিবৃতি দেয়।
বিবৃতির বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুই দিনের বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে চলমান বিরোধিতার প্রেক্ষিতে ফেসবুকের সেবা সীমিত করে রাখা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের সেবা বিপর্যয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য বা বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিক্ষোভ ঠেকাতে সেখানে এর আগেও ইন্টারনেট সেবা সীমিত করা হয়েছিল।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আরও বলছে, ‘মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কার্যকর যোগাযোগের জন্য যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রয়োজন। তাই এমন সময়ে বাংলাদেশে ফেসবুকের সেবা সীমিত রাখার ঘটনা উদ্বেগজনক।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকালে শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় বিক্ষোভকারীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীদের চারজন নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (২৮ মার্চ) সারাদেশে হরতাল ডাকে স্থানীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং গুজব ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি সীমিত রাখা হয়।