সোমবার (২৯ মার্চ) মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে এ সংক্রান্ত তিনটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রথম চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ থেকে সংঘটিত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলা ভূমি অফিস ও পার্শ্ববর্তী সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ভূমি অফিস ভাঙচুর ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা অপূরণীয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। এমতাবস্থায় সব উপজেলা ভূমি অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সরকারি অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ভবনে নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে এ ধরনের ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে এবং রেকর্ডপত্র সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
অপর চিঠিতে গত ২৬ মার্চ সংঘটিত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলা ভূমি অফিস ও পার্শ্ববর্তী সব ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সরকারি অন্যান্য ভবনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও তৃতীয় চিঠিতে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ছায়া রেকর্ডপত্র তৈরিতে ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে বলা হয়েছে। ভূমি সংস্কার বোর্ড থেকে এ সংক্রান্ত বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ থেকে সংঘটিত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ভূমি অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সরকারি অন্যান্য ভবনে ভাঙচুর ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া অগ্নিসংযোগের কারণে সরকারি অনেক নথিপত্র পুড়ে যায় এবং বিভিন্ন নথি ও দলিল বিভিন্ন জায়গায় ভবনের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরবর্তীতে যাতে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জনগণ পেতে পারে এই লক্ষ্যে ছায়া রেকর্ডপত্র প্রস্তুত করা প্রয়োজন।
এ পরিস্থিতিতে ভূমি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এবং জালিয়াতি রোধে পুড়ে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সংশ্লিষ্ট ছায়া/বিকল্প নথিপত্র/দালিলিক কাগজপত্র ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বিদ্যমান রেকর্ডপত্র থেকে তৈরি করার জন্য প্রতি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে একজন করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়োগ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ছায়া রেকর্ডপত্র তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে।