সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, বয়োজ্যেষ্ঠ ও অসুস্থ এমপিদের সংসদ অধিবেশেনে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে কোরাম (৬০ জনের উপস্থিতি) যেন পূর্ণ হয়, সেভাবে রোস্টার করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের সংসদ ভবনে আসার অনুমতি মিলবে না। অধিবেশন যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। দর্শনার্থী ও সাংবাদিকদের সংসদ ভবনে আসার পাস দেওয়া হবে না।
সংসদে আসা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। সংসদ সদস্যদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এমপিদের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। নমুনা পরীক্ষার ফল করোনা নেগেটিভ হলে তারা সংসদে আসতে পারবেন।
সংসদ ভবনে সবার হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদ অধিবেশন কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলা হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সংসদ সদস্যদের তালিকা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় যারা করোনা নেগেটিভ হবেন, তারা তালিকা অনুযায়ী সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন। সংসদের আলোচ্য সূচির ওপর বক্তব্য দেবেন, এমন ৬০ থেকে ৭০ জনের তালিকা করা হবে।’
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান সংসদে আসবেন ১ ও ৮ এপ্রিল। এভাবে রোস্টার করা হয়েছে। প্রত্যেকে নির্ধারিত তারিখে আসবেন।’
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘রোস্টার অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা অধিবেশনে যোগ দেবেন। কোরাম সংকট যেন না হয়, সেভাবে রোস্টার করা হয়েছে।’