এ দিন আমেরিকার শেয়ার বাজারে ছিল ১৫ মিনিট। ভারতে করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বাজারের পতন এতটাই যে ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখতে হল শেয়ার কেনাবেচা। সেনসেক্স ও নিফটি দুই সূচকই ‘লোয়ার সার্কিট’-এ পৌঁছে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এবং ন্যাশনাল ফিফটি (নিফটি)। তবে সেই ৪৫ মিনিট কাটতেই ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার। ৩০০০ পয়েন্টেরও বেশি নেমে যাওয়া সেনসেক্স পতন তো রোখা গেলই, বরং গতকালের চেয়ে উপরেও উঠে এখন ১৫০০ পয়েন্ট বেশিতে অবস্থান করছে সানসেক্স সূচক।
শুক্রবার সকালে ১৫০০ পয়েন্ট নীচে নেমে খোলে সেনসেক্স। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই পতন ছাড়িয়ে যায় ৩০০০ পয়েন্টেরও বেশি। বর্তমানে ৩৪২১৪ পয়েন্ট ছাড়িয়ে উর্ধ্বগতির পথে সেনসেক্স। নিফটিও খোলে প্রায় ৫০০ পয়েন্ট নীচে। ৯৬৬ পয়েন্ট নেমে ৮৬২৪ পয়েন্টে থেমেছিল নিফটির সূচক। তবে সেই ৪৫ মিনিট কাটার পর ফের কেনাবেচা শুরু হতেই ঊর্ধ্বমুখী বাজার। বর্তমানে সূচক অবস্থান করছে ৯৯৮১, বেড়েছে ৩৯১ পয়েন্ট।
কয়েক দিন আগে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে শেয়ার বাজারে ব্যাপক পতনের জেরে আমেরিকার শেয়ার বাজারেও একই ভাবে ১৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল শেয়ার কেনাবেচা। এ বার ভারতকেও সেই পথে হাঁটতে হল এবং তার তিন গুণ অর্থাৎ ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখতে হল শেয়ার কেনাবেচা। এর আগে ২০০৪, ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে এই ভাবে বাজারে পতনের জেরে বন্ধ রাখতে হয়েছিল শেয়ার কেনাবেচা। এর মধ্যে ২০০৯ সালে অবশ্য উল্টো পরিস্থিতি ছিল। ওই সময় বাজার ব্যাপক হারে উপরে ওঠার জন্য় বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
গত কাল বৃহস্পতিবারই এক দিনে সর্বনিম্ন পতনের রেকর্ড দেখেছিল শেয়ার বাজার। আজ সেই নজিরও ছাপিয়ে গেল। ২০০৮ সালে বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার সময়ে শেয়ার বাজারে যে ভাবে ধস নেমেছিল, করোনা ভাইরাসের জেরেও বাজারের পরিস্থিতি সেই জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
ভারতের ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপার্টরা মনে করছেন, গুজবে পতন অবশ্যই থেমে যাবে।