শুক্রবার (০২ এপ্রিল) বিকেলে অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী ভূমিকায় এবং বেসরকারি খাত এগিয়ে আসায় দেশে আজ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম সহজলভ্য। ভাতে-মাছে বাঙালির দেশে একটা সময় মাছ, মাংস দুর্লভ হয়ে গিয়েছিল। এখন গ্রামে গ্রামে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উদ্যোক্তা তৈরী হয়েছে।
তিনি বলেন, ফলে অর্থনীতির চাকা সবল হয়েছে। পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মিটছে। খাবারের বড় যোগান হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য কৃষি ও কৃষককে আমরা অবশ্যই বাঁচিয়ে রাখবো। অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে এগিয়ে চলছে, সে ধারাকে উত্তরোত্তর আমাদের সমৃদ্ধ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান ও এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফা. হ. আনসারী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের জাতির জন্য সৌভাগ্য যে আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মহান নেতা পেয়েছিলাম। তিনি কৃষিকে প্রাধান্য দিয়ে বলেছিলেন কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে কৃষি থাকলে বাংলাদেশ থাকবে। আর কৃষিকে রাখতে হলে কৃষকের জন্য সবকিছু করতে হবে। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে কৃষকদের যেভাবে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে, বিপ্লব পরবর্তীতে পৃথিবীর কোন দেশ এভাবে দিতে পারে নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের কৃষি উপকরণ, প্রশিক্ষণসহ নানা সহায়তা দিয়েছেন এটা শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা বিশ্বের বিস্ময়।”
এছাড়াও তিনি বলেন, আজকাল কৃষি খাতে কেউ লজ্জা বোধ করে না। ডেইরি, পোল্ট্রি ও মৎস্য খাতে যারা জড়িত তারা গর্ববোধ করে বলে আমি একজন উদ্যোক্তা, আমি বেকার নই। আমার অর্থনীতির চাকা আমি নিজেই সচল রাখি।
এসময় কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বেশি করে বিনিয়োগের জন্য দেশের বেসরকারি শিল্প উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, “দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কৃষির সম্ভাবনা অনেক। কৃষির উন্নয়ন হলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। গ্রামীন মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজার বিস্তৃতির মাধ্যমে শিল্পায়নও ত্বরান্বিত হবে।”
উল্লেখ্য, এসিআই ও দীপ্ত টেলিভিশন যৌথভাবে প্র্রথমবারের মতো এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজন করে। কৃষক, খামারি, সৃজনশীল উদ্ভাবক, মেধাবী গবেষক এবং সফল কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সেরা শস্য উৎপাদনকারী কৃষক হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ফেনীর আবু ছায়েদ রুবেল। চট্টগ্রামের আবুল হাসান চৌধুরী সাগর সেরা গবাদি খামারি, কক্সবাজারের নয়ন সেলিনা সেরা পোলট্রি খামারি ও খুলনার মামুনুর রশিদ সেরা মৎস্য চাষি ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। সেরা সবজি চাষি ক্যাটাগরিতে হবিগঞ্জের বদু মিয়া এবং সেরা ফল বাগানি ক্যাটাগরিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতিউর রহমান অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। বগুড়ার ‘স্বপ্ন ছোঁয়া সিঁড়ি’ সমবায় সেরা সামাজিক/সমবায় বিভাগে ও নওগাঁর জাহাঙ্গীর আলম শাহ সেরা কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি বিভাগে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এছাড়া গাইবান্ধার নজরুল ইসলাম সেরা কৃষি উদ্ভাবক ও সাভারের কোব্বাদ হোসাইন সেরা কৃষি উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।