শনিবার (৩ এপ্রিল) ভাসানচরে যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডস। ভাসানচরে এটিই হতে যাচ্ছে তাদের প্রথম সফর।
এর আগে গত মাসে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল ভাসানচর পরিদর্শনে যান। তারও আগে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ভাসানচর পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শুরু থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর প্রত্যাবাসনের বিরোধিতা করে আসছে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম দিন বিবৃতি দিয়ে এ কার্যক্রমের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছিল জাতিসংঘ। এমনকি প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয় তারা। আন্তর্জাতিক সংস্থাটির সাথে সুর মেলান পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরাও। তবে তাদের আপত্তির মুখেও রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে প্রত্যাবাসন অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক আবাসন ব্যবস্থাসহ যে বিপুল সুযোগ সুবিধা তৈরি করা হয়েছে, তা দেখাতেই পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের জন্য এ সফরের আয়োজন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা রোহিঙ্গাদের সাথে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন। এর ফলে ভাসানচর নিয়ে কূটনীতিকদের ভুল ধারণার অবসান হবে বলে আশাবাদী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।