শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাত ৯ টায় এ তথ্য জানান সাতছড়ি বন্যপ্রাণি সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন।
তিনি জানান, সকালে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উদ্যান বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে উদ্যান খুলে দেওয়া হবে।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ এ পর্যটন স্পটটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পরে ১ নভেম্বর এ উদ্যান খুলে দেয়া হয়েছিল। করোনার প্রভাব বাড়ায় দ্বিতীয় দফায় উদ্যানটি বন্ধ ষোষণা করা হলো।
উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খোলা থাকলে সাতছড়িতে প্রতিদিন আড়াই থেকে পাঁচ হাজার পর্যটক আসেন। বয়স্কদের টিকিট বিক্রি হতো ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২৫ টাকা।
উল্লেখ্য, সাতছড়ি উদ্যানের ইতিহাস জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ১৯১২ সালে। ওই বছর প্রায় ১০ হাজার একর দুর্গম পাহাড়ি জমি নিয়ে গঠিত রঘুনন্দন হিলস্ রিজার্ভই কালের পরিক্রমায় আজকের উদ্যান। অবশ্য জাতীয় উদ্যান হওয়ার ইতিহাস বেশি দিনের নয়। ২০০৫ সালে ৬০০ একর জমিতে জাতীয় উদ্যান করা হয়। এ উদ্যানের ভেতরে রয়েছে অন্তত ২৪টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস। রয়েছে বন বিভাগের লোকজন।
জানা যায়, ১৯৭ প্রজাতির জীবজন্তুর মধ্যে প্রায় ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৬ প্রজাতির উভচর। আরো আছে প্রায় ২০০ প্রজাতির পাখি। রয়েছে লজ্জাবতী বানর, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, শিয়াল, কুলু বানর, মেছো বাঘ, মায়া হরিণের বিচরণ।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
এতে অন্যন্য নির্দেশনার সাথে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যসহ হবিগঞ্জের সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়।