পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘বৈশ্বিক রূপান্তরের জন্য অংশীদারিত্ব: যুব সম্প্রদায় ও প্রযুক্তি শক্তির মুক্তি’ প্রতিপাদ্যে ডি-৮ দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন। সম্মেলনটি সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশ ছাড়া জোটের অন্য দেশগুলো হলো মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।
সম্প্রতি ডি-৮ সম্মেলন নিয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, শীর্ষ সম্মেলনে বাণিজ্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প সহযোগিতা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পরিবহন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং পর্যটন- এই ছয়টি বিষয়ে আলোচনা হবে। এক্ষেত্রে ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ আন্তর্জাতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে সম্মিলিত নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করা হবে।
এবারের সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি তুরস্কের কাছ থেকে সভাপতির দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ। পরবর্তী দুই বছর এর মেয়াদ থাকবে। এরইমধ্যে শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে d8dhaka.com নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। যেখানে আগামী দুই বছর, অর্থাৎ বাংলাদেশ সভাপতি থাকাকালীন সময়ের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে উন্নয়নশীল আটটি মুসলিম দেশ নিয়ে ডি-৮ জোট গঠন করা হয়। গঠনের এক বছরের মাথায় ১৯৯৭ সালে জোটটির প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তী ডি-৮ জোটের দ্বিতীয় সম্মেলন ১৯৯৯ সালে ঢাকায় আয়োজন করা হয়।