সোমবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্বব্যাংক–আইএমএফ-এর চলমান ‘স্প্রিং মিটিং ২০২১’-এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রতিনিধি দলের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী, অর্থ সচিব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন নেন। বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ছিলেন হার্টউইগ শ্যেফার ও মার্সি মিয়াং টেম্বন।
সভায় কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে ছাত্রীদের জন্য প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্প এবং করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বাজেট সাপোর্ট হিসাবে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহযোগিতার আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী। বিশ্বব্যাংকও এ বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে দেখা হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করে।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের দ্রুত ও সময়োযোগী বিভিন্ন উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন। চলমান করোনা মহামারির কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল রাখার লক্ষ্যে প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি) প্রকল্পের আওতায় সাপোর্ট এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নের জন্যও তিনি বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান।
অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কমবেশি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই অনুধাবন করতে পেরে দেশের সব ধরনের অর্থনৈতিক স্তরের মানুষের জন্য একের পর এক (এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকার) ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার ব্যবস্থা করেছেন, ইতিহাসে যা একটি বিরল সাহসী পদক্ষেপ।
দেশের সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে কোভিড-১৯ এ টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরুর বিষয়টিও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী পরিবেশগত উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রস্তাবিত ‘ইকোলজিক্যাল রিস্টোরেশন সাপোর্ট টু রিভার্স অ্যান্ড ক্যানালস অ্যারাউন্ড ঢাকা’ প্রকল্পে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পরিবহন, নদীকেন্দ্রিক পর্যটনের উন্নয়নে টেকসই পরিবেশ-বান্ধব অবকাঠামো তৈরি এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানান।