মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে কৃষকের মাঝে ‘কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র’ বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১০-১৫ বছর আগেও বাংলাদেশের কৃষি ছিল সনাতন পদ্ধতির। চাষাবাদ, মাড়াইসহ সব কাজ মানুষকে শারীরিকভাবে করতে হতো। লাঙলে চাষ হতো। এখন যন্ত্রের মাধ্যমে জমি চাষ ও ফসল মাড়াই হচ্ছে। কিন্তু ধান কাটা ও রোপণ মানুষকে করতে হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি ও সময়সাপেক্ষ। সেজন্য বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে গত ১২ বছর ধরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে কৃষিতে সরকারের মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করা। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এই প্রকল্প হলো তার অনন্য উদাহরণ। এর মাধ্যমে কৃষি লাভজনক হবে ও গ্রামীণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য, ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ -২১ অর্থবছর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫২ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হবে। চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে এ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশে ৫০০টি উপজেলায় ১৬১৭টি কম্বাইন হারভেস্টার, ৭০১টি রিপার, ১৮৪টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টারসহ মোট ৫ হাজার ৭৭৬টি বিভিন্ন ধরণের কৃষিযন্ত্র কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে হাওরে ধান সফলভাবে কাটার জন্য ৫১০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ২৩১টি রিপার বিতরণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে নেত্রকোনা থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন ও কৃষিযন্ত্র বিতরণ করেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু। মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা) মো. আব্দুল কাদের এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।