বৃহস্পতিবার (০৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্র মতে, ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ পয়সা। চলতি বছরে ৩১ মার্চ ২০২১ রবির শেয়ারপ্রতি সম্পদের পরিমান (এনএভিপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৬৬ পয়সা।
গত বছর তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেয়ার কারণে ব্যাপক সমালোচনায় মুখোমুখি হয় বহুজাতিক এ কোম্পানিটি। টেলিযোগাযোগ খাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানি রবি আজিয়াটা বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ কোম্পানির শেয়ারের বড় দরপতন হয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন লভ্যাংশ না দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠান সার্বিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকলেও, যে মুনাফা হয়েছে তা লভ্যাংশ দেয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি অর্জিত মুনাফা আবারো বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে প্রতিষ্ঠানটির। যথেষ্ট মুনাফা না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়নি। মুনাফা করার পরও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবির কাছে ব্যাখ্যা জানতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের ডেকেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর মুঠোফোন কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করে।