রোববার (১১ এপ্রিল) ‘রুরাল টু গ্লোবাল ই-কমার্স পলিসি কনফারেন্স ২০২১’ এর দ্বিতীয় সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে একদিন ব্যবসা মানেই হবে ডিজিটাল ব্যবসা। এমন একদিন আসবে কোনোকিছুই ডিজিটাল ছাড়া থাকবেনা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা ৫ম প্রজন্মের সেতুতে উঠতে হলে এটাই অনিবার্য ঠিকানা। ই-কমার্স হবে ডিজিটাল হাইওয়ে নির্মাণের অন্যতম উপাদান। এখন আমাদেরকে ডিজিটাল হাইওয়েতে আরো অগ্রসর হতে হবে উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যেতে।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই এর ই-কমার্স হেড রেজওয়ানুল হক জামি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনলাইন ক্রেতার ৮৮ শতাংশ শহরে এবং ১২ ভাগ ক্রেতা বাস করে গ্রামে। তবে একটা ইতিবাচক দিক হলো গ্রাম থেকে পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত যে টাকা আসে তার ২৩% আগে অগ্রিম। মানে এক্ষেত্রে সিওডি কম। তিনি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহজ উপায়ে নথিভূক্ত করন ও পেমেন্ট সেবা বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে বিভিন্ন দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ই-ক্যাবের উপদেষ্টা নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন, আজকের কনফারেন্সে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য একশন প্লান তৈরী করতে হবে।
ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রযুক্তি এত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে তাতে কাংখিত সাফল্য লাভ করতে হলে প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরের সমন্বয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে।
পোস্টাল সচিব মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, পোস্ট অফিসের যে সক্ষমতা রয়েছে তার সাথে প্রযুক্তি ও প্রাইভেট সেক্টর যুক্ত হলে পোস্ট অফিসের সেবা ই-কমার্সের সহায়ক হবে। সরকার ডাক বিভাগকে আধুনিকায়ন করার যে কাজ হাতে নিয়েছে তাতে সামনের দিনগুলোতে আমরা আরো ভাল কিছু করতে পারব।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ই-কমার্স এখন সময়ের সবচেয়ে অনিবার্য বাস্তবতা। সময়ের চাহিদার আলোকে উপযোগী সেবা দেয়ার জন্য তিনি ই-ক্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধন্যবাদ জানান। বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ই-কমার্স সেক্টরের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার ও প্রাইভেট সেক্টরের সহযোগিতা কামনা করেন।
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা একটা রোড ম্যাপ তৈরী করছি যাতে একদিকে গ্রামীণ উদ্যোক্তার পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে শহুরে বা বৈশ্বিক ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাবে অন্যদিকে ক্রসবর্ডার ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশীয় পন্যের বাজার বিদেশের ক্রেতার কাছে বিস্তৃত হবে। তিনি বিগত সময়ে ই-ক্যাবের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন এবং পলিসি কনফারেন্স এর মতামতসমূহ একটি পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করে পলিসি মেইকারসহ সকলের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন।
অন্যান্য অতিথির মধ্যে এনজিও ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্যাহ আল মামুন, বিআরটিসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল ইসলাম, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দীন, বিডিজবস এর ফাউন্ডার কেএম ফাহিম মাশরুর, ই-ক্যাবের জয়েন্ট সেক্রেটারী নাসিমা আক্তার নিশা, ই-ক্যাবের ডিরেক্টর সাইদ রহমান, ডিরেক্টর আসিফ আহনাফ, সুন্দরবন কুরিয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ তানভীর আহমেদ রনি, ই-ক্যাবের রিসার্চ কমিটির চেয়ারম্যান সাদরুদ্দিন মোহাম্মদ ইমরান, ধামাকা শপ এর এমডি এসএম জসিম উদ্দীন চিশতী কনফারেন্সে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মন্ত্রী ‘‘ধামাকা উদ্যোক্তা এ্যাপ ‘’ এর শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন।