আইওএম-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, গত ২২ মার্চ বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তৎপরতা চালাতে যে ব্যাপক মানবিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন, এই তহবিল তাতে অবদান রাখবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইওএম বাংলাদেশ সরকার, ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি), জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিওর ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিবিরগুলোতে তাদের জরুরি সাহায্য তৎপরতা বাস্তবায়ন করছে।
এতে বলা হয়, আইওএম-এর তৎপরতা জীবন রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ হস্তক্ষেপের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার দিকে মনোনিবেশ করেছে। আইওএম-এর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক সাইট পরিকল্পনা পদ্ধতি এবং পরিবেশ সচেতন ও টেকসই নির্মাণ কাজে লাগিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের ব্যবস্থা করা। এতে আরো বলা হয়েছে, আইওএম গুরুত্বপূর্ণ পানি স্থান, শৌচাগার এবং ঝরনা এলাকার পুনর্বাসন ও নির্মাণের দিকেও মনোনিবেশ করবে, যা নিশ্চিত হলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সবচেয়ে মৌলিক মানবাধিকারকে সম্মান করা হবে।
বাংলাদেশে আইওএম-এর উপ-প্রধান ম্যানুয়েল মার্কেস পেরেরা বলেন, কোরিয়া সরকারের কাছ থেকে যে সমর্থন পাওয়া গেছে তার জন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সর্বশেষ আগমনের পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়া এই বিশাল আন্তর্জাতিক মানবিক সংকট মোকাবিলা করার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য মানবিক সংগঠনগুলিকে নিরন্তর সমর্থন জানিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে ১১ লক্ষেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টমাসে মিয়াানমার সেনাবাহিনী জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম আক্রমণ শুরু করার পরে তাদের বেশিরভাগই এখানে পালিয়ে আসে।-বাসস