আকাশ রঞ্জনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘পরকাল’-এ অভিনয় করেছেন সাঈদ বাবু, বৃষ্টি ইসলাম, আব্দুল্লাহ রানা, লীনা আহমেদ সুফিয়া, মিষ্টি মারিয়া, মাসুম বাসার, আমিন আজাদ, গুলশান আরা, শিখা, অনামিকা, আফসানা নওমি ও ইলমাসহ অনেকে ।
খালেক সাহেবের পরিবার আর আশপাশের মানুষকে ঘিরে ‘পরকাল’ নাটকের গল্প গড়ে উঠেছে। খালেক সাহেবের সংসারে সবকিছু থাকার পরেও সুখ নেই । এর কারণ পরিবারে তিনি এবং বড় ছেলের বউ ছাড়া সবাই বেপরোয়া । রমজান মাসেও কারও মধ্যে যেন শৃঙ্খলা নেই । এ রকম আরো কিছু পরিবার রয়েছে যারা ইহকালের সুখ শান্তি নিয়ে ব্যস্ত, পরোকাল নিয়ে ভাববার সময় যেন কারো নেই।
আবার সমাজে এক ধরনের মানুষ রয়েছেন যারা রোজা কিংবা ইফতার বিষয়টা নিয়ে লোক দেখানো কিছু কর্মকাণ্ড করেন। মোট কথা পবিত্র রমজানের গুরুত্ব, মাহাত্ম্য আর মানবিক বিষয়ই পরকাল নাটকের মূল উপজীব্য।
রোজা রোজাদারদের যেমন মানসিক প্রশান্তি এবং পবিত্রতা দান করে তেমনি স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। রোজা যে সাধনার মাস, স্রষ্টার নৈকট্য লাভের মাস, সব পাপ কার্য থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার মাস। মানুষকে সচেতন করার জন্যই ‘পরকাল’ নাটক।
নাটকটি প্রসঙ্গে গল্পকার টিপু আলম মিলন বলেন, ‘রোজা হলো সংযমের মাস। এ মাস এলেই আমরা সংযমী না হয়ে বরং অতিমাত্রায় অসংযমী হয়ে যাই। রমজানে গরীব দুঃখী প্রতিবেশীর হক আদায় না করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া এবং লোক ঠকানো যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আবার সেহরী কিংবা ইফতারে এলাহী সব আয়োজনে চলে লোক দেখানো প্রতিযোগিতা। সেহরি পার্টির নামে রোজার পবিত্রতা নষ্ট করার প্রয়াসও চোখে পড়ার মতো। চারপাশের এ অনিয়মগুলো তুলে ধরাই ‘পরকাল’ নাটকের মূল বিষয়।’