বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অসুস্থ হয়ে দু’সপ্তাহ ধরে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ বুধবার দুপুর ২ টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে শামসুজ্জামান খানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার (১১ এপ্রিল) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
শামসুজ্জামান খান করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানিয়েছিল বাংলা একাডেমি। সেসময় জানানো হয়, শামসুজ্জামান খান ও তার স্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চার-পাঁচদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান একাধারে ছিলেন লোক সংস্কৃতি ও পল্লীসাহিত্য গবেষক। তার উল্লেখযোগ্য কাজ, বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা শিরোনামে ৬৪ খণ্ডে ৬৪ জেলার লোকজ সংস্কৃতির সংগ্রহশালা সম্পাদনা এবং ১১৪ খণ্ডে বাংলাদেশের ফোকলোর সংগ্রহমালা সম্পাদনা।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এরপর ১৯৬৪ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। একই বছর তিনি জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে ২৪ মে তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হন। তার পদের মেয়াদ তিনবার বাড়ানো হয়, শেষ হয় ২০১৮ সালে। অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান একুশে পদক ছাড়াও বাংলা একাডেমি পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক পুরস্কার, কালুশাহ পুরস্কার, দীনেশচন্দ্র সেন ফোকলোর পুরস্কার,শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় গবেষণা পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার পান।