বৃহস্পতিবার ( ১৫ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৭ এপ্রিল থেকে ৫ টি দেশের সাথে বিমান চলাচল শুরু হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সংশ্লিষ্ট দেশের ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর যেতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মিদের মধ্যে যাদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স রয়েছে, তাদের বিদেশ গমনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর প্রবাসীদের মধ্যে যাদের ভিজিট ভিসা আছে, তবে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স নেই, তারা বিদেশ গমনে অগ্রাধিকার পাবেন না।
বিগত তিন দিন ধরে যে সকল বিদেশগামী যাত্রীদের টিকেট কাটা সত্ত্বেও বিদেশ যেতে পারেননি, তাদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বা সংশ্লিষ্ট দেশের ন্যাশনাল ক্যারিয়ার বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
বিদেশগামী যাত্রীদের ঢাকা হতে যাত্রা শুরু হবে। যেসব যাত্রী ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম হতে ভ্রমণ করার জন্য টিকেট ক্রয় করেছেন, তাদেরকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কানেক্টিং ফ্লাইটের মাধ্যমে ঢাকায় আনা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিদেশগামী যাত্রীদের টিকেটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য যাত্রী পরিবহনের জন্যপরিচালিত বিশেষ ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং চার্জ সাধারণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চার্জের সমপরিমাণ প্রদেয় হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিদেশগামী যাত্রীদের পিসিআর টেস্ট নির্বিঘ্নে এবং স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে ফলাফল প্রদান করবে।
লকডাউন চলাকালে উল্লিখিত ৫টি দেশ ব্যতীত অন্যান্য দেশে যারা জরুরি প্রয়োজনে যেতে ইচ্ছুক, তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র সাপেক্ষে ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার হিসেবে বিশেষ ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে পারবেন।
এ ৫টি দেশে বা ট্রানজিট যাত্রীগণ এয়ারপোর্টে আসার পথে পাসপোর্ট/ভ্যালিড ভিসা/বিমানের টিকিট/বিএমইটি কার্ড অথবা নিরাপত্তা এজেন্সি কর্তৃক ইস্যুকৃত পাস সঙ্গে রাখবেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন পয়েন্টে উল্লিখিত ডকুমেন্টধারীদের অভ্যন্তরীণ চলাচলে যথাযথ সহযোগিতা প্রদান করবেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিগণ জরুরি প্রয়োজনে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের শর্তে দেশে আসতে পারবেন। প্রত্যেক যাত্রীকে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলকভাবে প্রদর্শন করতে হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমুহ দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করবে। বিদেশ হতে ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোরেনটাইন নিশ্চিতের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ দিয়াবাড়ি, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখবে। ৫টি দেশ হতে যেসকল যাত্রী দেশে আসবেন, তারা বোর্ডিং এর পূর্বেই কোয়ারান্টাইনের জন্য নির্দিষ্ট হোটেলে বুকিং নিশ্চিত করবেন।