সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে হলেও স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস (১৭ এপ্রিল) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা যে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ঐক্যবদ্ধভাবে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখব, ইনশাআল্লাহ।’
ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহুকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে।’
প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা—শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, শহীদ মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের স্মৃতির প্রতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ৩ নভেম্বর জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল না। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা জাতির পিতাসহ জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার করেছি।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালের এর নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে আওয়ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ যথাক্রমে ১৬৭টি এবং ২৯৮টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নভেম্বরের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের কারণে উপদ্রুত এলাকার কয়েকটি আসনে ১৯৭১ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয়ার্থে নির্বাচন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য রেসকোর্স ময়দানে ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ গ্রহণ করেন।’
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ এ সংগীত দিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ সময় ‘আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগান দেন। তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা সারা পূর্ব বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। তার নির্দেশেই বাংলাদেশের সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান—ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’ এর অব্যবহিত পরেই অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস (১৭ এপ্রিল) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা যে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ঐক্যবদ্ধভাবে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখব, ইনশাআল্লাহ।’
ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহুকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে।’
প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা—শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, শহীদ মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের স্মৃতির প্রতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ৩ নভেম্বর জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল না। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা জাতির পিতাসহ জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার করেছি।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালের এর নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে আওয়ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ যথাক্রমে ১৬৭টি এবং ২৯৮টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নভেম্বরের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের কারণে উপদ্রুত এলাকার কয়েকটি আসনে ১৯৭১ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয়ার্থে নির্বাচন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য রেসকোর্স ময়দানে ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ গ্রহণ করেন।’
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ এ সংগীত দিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ সময় ‘আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগান দেন। তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা সারা পূর্ব বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। তার নির্দেশেই বাংলাদেশের সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান—ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।’ এর অব্যবহিত পরেই অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।
