ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শিবলী নোমান আজ দুপুরে বিএনপিকে শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সমাবেশের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে শিবলী নোমান বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশে যে ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয়, একই ধরনের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে। তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ১২টার পর থেকেই নয়াপল্টনে আসতে শুরু করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ৫ মাসের অধিক দিন যাবত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নিঃশর্ত মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে সরকারের অমানবিক আচরণ করার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করছে দলটি।
উল্লেখ, কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার দাবিতে গত ১৫ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানিয়েছিলেন, শুক্রবার (২০ জুলাই) ঢাকাসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলা সদরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হবে।
পুলিশ বলছে, ২৩টি শর্তসাপেক্ষে বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে বিএনপিকে ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ’ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে—বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচির কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখা। রাস্তা ব্যবহার করে অথবা রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ না করা। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) রাখা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশ কর্মসূচির ভেতরে-বাইরে সিসি ক্যামেরা ও গেটে আর্চওয়ে বসানো। ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মসূচিস্থলে আসা সব যানবাহনে তল্লাশি। অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার না করা।
এদিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। কার্যালয়ের আশপাশে সাঁজোয়া যান ও জলকামান নিয়ে পুলিশ অবস্থান করছে। নয়াপল্টনমুখী পথচারীদের নাইটিংগেল মোড় থেকে তল্লাশি করে যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে।