সেখানে বলা হয়, দেশের করোনায় তৃতীয় দিনে ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দুইদিন ১০২ জন করে মৃত্যু হয়।
চলতি মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গত তিন দিনে মৃত্যু হল মোট তিনশ চার জনের। দেশে গত তিনদিনের মৃত্যুহার বিবেচনা করলে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রতি ১৫ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। আর এপ্রিল মাসের মৃত্যু হার বিবেচনা করলে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এই মাসে প্রতি ১৮ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। পরে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় মারা যাওয়ার তথ্য দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে গত ১৭ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এই ১৩ মাসে মৃতের সংখ্যা এর আগে কখনোই তিন অংক ছোঁয়নি।
গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে কাউকে শনাক্ত করার তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশ'র ঘরে নেমে এসেছিল। তবে এ বছর মার্চের শুরু থেকেই শনাক্তে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একই সাথে বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০ হাজার ৩৮৫ জন। আর মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জনে। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৬ জন। বর্তমানে কোভিড আক্রান্তের হার ১৯.০৬ শতাংশ।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘নতুন শনাক্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। বিশ্বজুড়ে প্রতি সপ্তাহে নতুন শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা গত দুইমাসে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। ‘মহামারি সর্বোচ্চ মাত্রার সংক্রমণের দিকে এগোচ্ছে’ বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্কবাণী উচ্চারণের পরদিনই বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর এই তথ্য জানা গেল। -বিবিসি