সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়ন : বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা' শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শিল্পায়নের মাধ্যমে একটি দেশ উন্নয়নের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে, সরকার সেই লক্ষ্যে দেশের শিল্পায়ন ও শিল্পের বিকাশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে শিল্পায়নের জন্য বিদেশে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে এবং এসব পণ্যের রফতানি বাড়াতে সরকার শিল্পনীতি সহায়তাসহ সব সহায়তা দিচ্ছে।বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা' শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
গবেষণা আর উদ্ভাবন অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি অন্যান্য সহায়ক শিল্পগুলোকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার বাজারে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও মনে করেন শিল্পমন্ত্রী।
ডিসিসিআই'র সভাপতি রেজওয়ান রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেন ইফাদ গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি ওয়েবিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক ইউনিটের প্রধান জন ডি. ডানহাম, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুজ্জামান, উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান, বারভিডা'র প্রেসিডেন্ট আব্দুল হক, সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ ও জাইকা প্রতিনিধি হায়াকাহ ইউকো ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির ধাক্কা বাংলাদেশ অর্থনীতিতে লাগলেও গত বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, দেশে লকডাউনের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প কারখানা চালু রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় প্রায় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। আসছে দিনগুলোতে আয় আরও বাড়বে। মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশি ব্যক্তিগিত গাড়ি কিনছেন। তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে অটোমোবাইল শিল্পখাতের যন্ত্রাংশ উৎপাদনে শিল্প-কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসার জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি বলেন, অনেক দেশের শিল্পায়নে অটোমোবাইল খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে জাপানে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অটোমোবাইল শিল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে এবং বাংলাদেশের সেই উদাহরণ অনুসরণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অটোমোবাইল খাতের বিকাশকে ত্বরান্তিত করতে হালকা প্রকৌশল শিল্পকে এগিয়ে আসতে হবে।
ওয়েবিনারের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালার অভাব, সহায়ক শুল্ক কাঠামো না থাকা, স্থানীয়ভাবে পর্যাপ্ত কাঁচামালের যোগান না থাকা, দক্ষ মানবসম্পদ ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাতের অনুপস্থিতির কারণে দেশের অটোমোবাইল শিল্পে আশানুরুপ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এ খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ১০ বছর মেয়াদী ‘বাংলাদেশ অটোমোবাইল সেক্টর রোডম্যাপ ২০২১-২২' এবং ‘অটোমোবাইল-ম্যানুফেকচারিং ডেভেলপমেন্ট পলিসি'-এর খসড়া প্রস্তুস্ত করেছে, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত করা জরুরি।