সোমবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি রোববার বৈঠক করে বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে। আমরা আজ ভার্চুয়াল বৈঠক করেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে চলমান বিধিনিষেধ ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজই এ সিদ্ধান্তের সামারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর সন্ধ্যা নাগাদ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
এর আগে সংক্রমণ ঠেকাতে আরও এক সপ্তাহের জন্য ‘কঠোর লকডাউনের’ সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। রোববার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
সোমবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করায় কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করে। বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না।
দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দফতর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।
এই বিধিনিষেধের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। অন্যথায় বিরূপ পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান লকডাউনে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের চলাচলে বাধা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। কাঁচা বাজার আবারও উন্মুক্ত স্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি।