এ ব্যাপারে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক, পরিপাকতন্ত্র ও লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, এই গ্রীষ্মকালে শরীরে এমনিতেই পানিশূন্যতা দেখা দেয়। রোজা রাখার ফলে শরীরে পানিশূন্যতার সম্ভাবনা আরো বাড়তে পারে। এজন্য নিয়ম হলো ইফতারের পর থেকে শুরু করে সেহরির সময় পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তবে অতিরিক্ত পানি পান না করে, পরিমিত পরিমাণে পান করতে হবে। পানির পাশাপাশি শরবত এবং ফল খেতে হবে। শসা খাওয়া যেতে পারে। এই টাইপের খাবার খেলে পানিশূন্যতা হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন সাধারণত দেড় থেকে দু’লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন। একজনের প্রতিদিন সে পরিমাণ পানি পান করা উচিত, তার যেন দেড় থেকে দুই লিটার প্রস্রাব হয় এই গরমের সময়। এজন্য তাকে অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। আবার সারাক্ষণই পানি খেলে সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে।
ইফতারের আগ মুহূর্তে ফুটপাতে অনেক সময় শরবত বিক্রি করা হয় এগুলো স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে জানান, অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, শরবত যেটা রাস্তার পাশে বানানো হয় আমরা সেটা ধরেই নেই যে সেটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। শরবত খারাপ নয়, কিন্তু যে শরবত বানিয়েছেন, তিনি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শরবত বানিয়েছে কিনা সেটা লক্ষণীয় বিষয়। তবে আমরা সাধারণত বলে থাকি যে রাস্তার খাবার আমাদের সবারই এড়িয়ে চলা উচিত। কেননা ওই খাবার খাওয়ার ফলে পেটের রোগ এবং অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
লেবু-মধু কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে কোন অসুবিধা নেই বলে মনে করেন এই পরিপাকতন্ত্র ও লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ। বলেন, লেবু এবং মধু দুটোই শরীরের জন্য ভালো।
সূত্র: ডক্টর টিভি